০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণ আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫০৪ বার পড়া হয়েছে

মিজানুর রহমান মিলন,
স্টাফ রিপোর্টার :

গাইবান্ধা সদর উপজেলা বাঁদিয়াখালি ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে, একই এলাকার এক বখাটে ছেলে মনিরুল। এজাহারের সূত্র ধরে জানা যায়, গত ২৯/ ১ /২০২৫ ইং তারিখে অনুমান সময় ৩.০০ ঘটিকার সময় পুরাতন বালিয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয় হইতে স্কুল ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে, মোছাঃ আছমা বেগম স্বামী মোঃ মজিদ মিয়া সপ্তম শ্রেণীরপড়ুয়া ছাত্রী মোছাঃ রুপা আক্তার কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়া তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসমা বেগমের ভাতিজা ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিল, সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘরের ভিতরে রেখে আসমা বেগম স্থান ত্যাগ করেন। সেই সুযোগে বখাটে ছেলে রুপা আক্তার কে মুখে চাপ দিয়ে ধরিয়ে আসমা বেগমের শয়ন ঘরে থাকা, বিছানায় শুয়ে রুপা আক্তারকে ধর্ষণ করে। পড়ুয়া ছাত্রী জীবন বাঁচাতে আত্মচিৎকার করিলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার কে উদ্ধার করিয়া তার পিতার বাড়িতে রেখে চলে যান, বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হইলে গ্রামের মহত মাতাব্বর গণ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি স্থানীয় মৌলভি দ্বারা উভয় পরিবারের মধ্যেও মীমাংসাসহ বিবাহ পরিয়ে দেন। কিন্তু বিবাহর রেজিস্ট্রি বিষয়টি স্থবির হইয়া পড়ে, সেই সুযোগে বকাটে ছেলেটি অন্যত্র আরেকটি বিবাহ করেন। ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী জীবন বিপন্ন হইয়া পড়ে। মেয়ের সুখের জন্য অসহায় পিতা মোঃ আইয়ুব আলী পিতা মৃত্যুঃ ফয়সাল আলী গ্রামঃ রামনাথের ভিটা (বালুচর) উপজেলা ও জেলা গাইবান্ধা, ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে, সদর থানা গাইবান্ধা একটি এজাহার দাখিল করেন, এজাহারের সত্যতা পাইলে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার এজাহার টি আমলে গ্রহণ করিয়া একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন, ধারা ৯(১)৩০ তাং২২-৬-২৫ ইং গাইবান্ধা সদর থানার মামলা নং ৩৬ জি/আর নং২২০/২৫ উক্ত মামলায় দুজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করিয়া করা হইয়াছিল। অভিযুক্ত আসামী ১/মোঃ মনিরুল ইসলাম পিতা মোঃ আব্দুল মজিদ ২/মোছাঃ আছমা বেগম স্বামী মোঃ রশিদ মিয়া উভয়ের গ্রামঃ রামনাথের ভিটা ( বালুচর) উপজেলা জেলাঃ গাইবান্ধা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিজুস কুমার বিশ্বাস মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করিতেছেন। স্থানীয় জনগণ গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, দিব্যি আসামিরা লোক সমাজে ঘুরে বেড়ালেও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অভিহিত করা সত্যও তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, অবুঝ শিশু সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। ন্যায় বিচার পাবে না মর্মে অবুঝ শিশু স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, গত ৮/৭/২৫ ইং তারিখে ১১ ঘটিকার সময় পিতার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ,আত্মহত্যার জন্য গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁসি দেয়, আশপাশের লোকজন গোংরানি শব্দ শুনিয়া ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া ফাস হইতে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন, এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের গাফিলতির কারণে অবুঝ শিশু টি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনগণ জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে , ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে একতা যুব সংঘের নিজস্ব অর্থায়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন

সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণ আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা

আপডেট সময় : ০৪:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মিজানুর রহমান মিলন,
স্টাফ রিপোর্টার :

গাইবান্ধা সদর উপজেলা বাঁদিয়াখালি ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে, একই এলাকার এক বখাটে ছেলে মনিরুল। এজাহারের সূত্র ধরে জানা যায়, গত ২৯/ ১ /২০২৫ ইং তারিখে অনুমান সময় ৩.০০ ঘটিকার সময় পুরাতন বালিয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয় হইতে স্কুল ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে, মোছাঃ আছমা বেগম স্বামী মোঃ মজিদ মিয়া সপ্তম শ্রেণীরপড়ুয়া ছাত্রী মোছাঃ রুপা আক্তার কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়া তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসমা বেগমের ভাতিজা ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিল, সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘরের ভিতরে রেখে আসমা বেগম স্থান ত্যাগ করেন। সেই সুযোগে বখাটে ছেলে রুপা আক্তার কে মুখে চাপ দিয়ে ধরিয়ে আসমা বেগমের শয়ন ঘরে থাকা, বিছানায় শুয়ে রুপা আক্তারকে ধর্ষণ করে। পড়ুয়া ছাত্রী জীবন বাঁচাতে আত্মচিৎকার করিলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার কে উদ্ধার করিয়া তার পিতার বাড়িতে রেখে চলে যান, বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হইলে গ্রামের মহত মাতাব্বর গণ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি স্থানীয় মৌলভি দ্বারা উভয় পরিবারের মধ্যেও মীমাংসাসহ বিবাহ পরিয়ে দেন। কিন্তু বিবাহর রেজিস্ট্রি বিষয়টি স্থবির হইয়া পড়ে, সেই সুযোগে বকাটে ছেলেটি অন্যত্র আরেকটি বিবাহ করেন। ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী জীবন বিপন্ন হইয়া পড়ে। মেয়ের সুখের জন্য অসহায় পিতা মোঃ আইয়ুব আলী পিতা মৃত্যুঃ ফয়সাল আলী গ্রামঃ রামনাথের ভিটা (বালুচর) উপজেলা ও জেলা গাইবান্ধা, ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে, সদর থানা গাইবান্ধা একটি এজাহার দাখিল করেন, এজাহারের সত্যতা পাইলে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার এজাহার টি আমলে গ্রহণ করিয়া একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন, ধারা ৯(১)৩০ তাং২২-৬-২৫ ইং গাইবান্ধা সদর থানার মামলা নং ৩৬ জি/আর নং২২০/২৫ উক্ত মামলায় দুজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করিয়া করা হইয়াছিল। অভিযুক্ত আসামী ১/মোঃ মনিরুল ইসলাম পিতা মোঃ আব্দুল মজিদ ২/মোছাঃ আছমা বেগম স্বামী মোঃ রশিদ মিয়া উভয়ের গ্রামঃ রামনাথের ভিটা ( বালুচর) উপজেলা জেলাঃ গাইবান্ধা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিজুস কুমার বিশ্বাস মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করিতেছেন। স্থানীয় জনগণ গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, দিব্যি আসামিরা লোক সমাজে ঘুরে বেড়ালেও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অভিহিত করা সত্যও তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, অবুঝ শিশু সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। ন্যায় বিচার পাবে না মর্মে অবুঝ শিশু স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, গত ৮/৭/২৫ ইং তারিখে ১১ ঘটিকার সময় পিতার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ,আত্মহত্যার জন্য গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁসি দেয়, আশপাশের লোকজন গোংরানি শব্দ শুনিয়া ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া ফাস হইতে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন, এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী রুপা আক্তার। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের গাফিলতির কারণে অবুঝ শিশু টি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনগণ জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে , ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।