০৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চেক ডিজঅনার মামলায় বিএনপি নেতা চাইনিজ রফিক-এর এক বছরের কারাদণ্ড

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকে উল্লেখিত ৪০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আঃ বাঃ মোঃ নাহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
বাদী হাম্মাদ আলী জানান, রফিকুল ইসলামকে তিনি ধার হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। দুই মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি পরিশোধ করেননি এবং মামলা করার পর বিভিন্ন সময়ে আসামির কাছ থেকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. হাম্মাদ আলী মামলাটি দায়ের করেন। আরজিতে তিনি উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন এবং পরবর্তীতে পরিশোধ না করায় তাগাদা দিলে প্রাইম ব্যাংকের চারটি চেক (প্রতি চেক ১০ লাখ টাকা করে) প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়।

অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চেক ডিজঅনার মামলায় বিএনপি নেতা চাইনিজ রফিক-এর এক বছরের কারাদণ্ড

চেক ডিজঅনার মামলায় বিএনপি নেতা চাইনিজ রফিক-এর এক বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকে উল্লেখিত ৪০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আঃ বাঃ মোঃ নাহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
বাদী হাম্মাদ আলী জানান, রফিকুল ইসলামকে তিনি ধার হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। দুই মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি পরিশোধ করেননি এবং মামলা করার পর বিভিন্ন সময়ে আসামির কাছ থেকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. হাম্মাদ আলী মামলাটি দায়ের করেন। আরজিতে তিনি উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন এবং পরবর্তীতে পরিশোধ না করায় তাগাদা দিলে প্রাইম ব্যাংকের চারটি চেক (প্রতি চেক ১০ লাখ টাকা করে) প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়।

অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবো।