
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
‘তানোরে বিএনপি নেতার নির্দেশে স্কুলে তালা বারান্দায় ক্লাস উঠেনি জাতীয় পতাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার।
গতকাল গণমাধ্যম পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘তানোরে বিএনপি নেতার নির্দেশে স্কুলে তালা বারান্দায় ক্লাস উঠেনি জাতীয় পতাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, তানোরে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার ও মুজিবর রহমানের নির্দেশে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।তিনি বলেন, একটি মহল তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্তিত ও তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে
সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়ওপ্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে,বিগত ২০০৩ কলমা ইউপির পিঁপড়া কালনা গ্রামবাসির উদ্যোগে পিঁপড়া কালনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। অথচ ২০০২ সালে মজিবুর রহমানকে সভাপতি সাজিয়ে মাহাবুবুর রহমান নিজেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেখায়।কিন্ত্ত তিনি কখানোই স্কুলে আসেন নাই।তবে জুলাই বিপ্লবের পর হঠাৎ করেই তিনি নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করেন।এদিকে তার জালিয়াতির ঘটনা জানাজানি হলে পুরো গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গ্রামবাসি তার কাছে নিয়োগের কাগজ দেখতে চাইলে, তিনি উল্টো গ্রামবাসিকে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেন।এতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে ভুয়া শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয় এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে আর লেখাপড়া করাবেন না।অথচ এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতেই বিএনপি নেতা হযরত আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে,যা সত্য নয়, মিথ্যা,ভিত্তিহীন,মানহানিকর ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নিবেদক
মোঃ হযরত আলী
তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ।