১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তানোরে হাজারোও মানুষ কাদা বন্দী”জীবনযাত্রায় বাধার সৃষ্টি

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • ৫০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী তানোর উপজেলায় কাদাবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচন্দর ইউনিয়নের হাজারোও মানুষ।
এতে করে তাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ভাবে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলোতে সামান্য বৃষ্টি হলেই শুরু হয় কাদার প্রভাব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির গুড়ইল জাইদুরের মোড় হতে কচুয়া দক্ষিণ পাড়া ও বড়ডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা এর মধ্যে রয়েছে গুড়ইল প্রাইমারি স্কুল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভরা মৌসুমে হাতে স্যান্ডেল ও জুতা নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন, এই গ্রাম গুলোতে প্রায় ২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। যাদের একমাত্র রাস্তা এটি।
একই এলাকার কুন্দাইন প্রাইমারি স্কুল হতে শিতপুর পর্যন্ত প্রায় ১.৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে প্রায় ১ হাজার মানুষ।
কৃষ্ণপুর জিতপুর ব্রিজ হইতে কচুয়া প্রাইমারি স্কুল” হাই স্কুল ও কারিগরি কলেজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা দিয়েই চলে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
একি ইউপির বনকেশর হতে কোয়েল পূর্বপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। মোহর থেকে কৃষ্ণপুর
হাই স্কুল। গাল্লা থেকে শাহাপুর কোয়েল উত্তর পাড়া,চাঁদপুর দিঘিপাড়া থেকে বানিয়াল আদিবাসী পাড়া। শাহাপুর থেকে ইলামদহী হাট পর্যন্ত। প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা পাঁচন্দর ইউপির এখনো কাঁচা।

পাঁচন্দর ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বৃষ্টির মৌসুম আসলেই আমাদের এলাকার কয়েক টা গ্রাম আছে সেই গ্রাম গুলোতে একপ্রকার অভিশাপ্ত জীবনযাপন করতে হয়। বৃদ্ধ মানুষ যদি অসুস্থ হয় তাদেরকে খাঁটিয়াতে করে নিয়ে যেতে হয় পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত। এক হাটু কাদা ডেমিয়ে কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনা এতে করে পড়ালেখায় পিছিয়ে যায় তারা।
গুড়ইল গ্রামের আলহাজ্ব ইসরাইল বলেন,জন্ম লগ্নভাবে আমাদের এই রাস্তা কাঁচা রয়েছে, আষাঢ় মাস আসলে আমরা যেন এক বন্দি জীবনযাপন করি এর থেকে রেহাই কবে পাবো জানিনা বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

গুড়ইল গ্রামের কাফি বলেন,ভাই আমাদের এলাকায় প্রায় ২ হাজার মানুষ বসবাস করে। বর্ষা মৌসুমে এতটাই সমস্যা হয় যে বলার ভাষা নেই। আমি শহরে থাকি আমার পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় খাটিয়াতে করে বা গরুর গাড়িতে করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত। বর্ষ মৌসুমে একপ্রকার আমাদের এলাকার মানুষ বন্দী জীবন যাপন করেন বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

একি গ্রামের বাবুল বলেন, হালকা একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় এক হাটু কাদা আমাদের চলাচলের একমাত্র পরিবহন হিসাবে গরু বা মহিষের গাড়ি ই একমাত্র ভরসা।

এ বিষয়ে পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এটা সত্য যে বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পাকা রাস্তা না থাকায় তাদের জীবন যাপনে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়। তবে পাঁচন্দর ইউপির কাঁচা যে গুলো রাস্তা আছে প্রায় রাস্তার কোড হয়ে গেছে কিছু দিনের মধ্যে অনেক রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে আশা করছি পর্যক্রমে আমাদের ইউনিয়নের সব রাস্তার কাজ হয়ে যাবে।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) সাইদুর রহমান বলেন, আসলে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির অনেক রাস্তায় কাঁচা বর্ষা মৌসুমে তাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটাই থমকে যায়। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তার কাজ বর্ষা মৌসুম পার হলেই শুরু হবে। আগামীতে সব রাস্তায় হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি শামীম সম্পাদক আরিফুল

তানোরে হাজারোও মানুষ কাদা বন্দী”জীবনযাত্রায় বাধার সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৯:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী তানোর উপজেলায় কাদাবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচন্দর ইউনিয়নের হাজারোও মানুষ।
এতে করে তাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ভাবে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলোতে সামান্য বৃষ্টি হলেই শুরু হয় কাদার প্রভাব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির গুড়ইল জাইদুরের মোড় হতে কচুয়া দক্ষিণ পাড়া ও বড়ডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা এর মধ্যে রয়েছে গুড়ইল প্রাইমারি স্কুল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভরা মৌসুমে হাতে স্যান্ডেল ও জুতা নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন, এই গ্রাম গুলোতে প্রায় ২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। যাদের একমাত্র রাস্তা এটি।
একই এলাকার কুন্দাইন প্রাইমারি স্কুল হতে শিতপুর পর্যন্ত প্রায় ১.৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে প্রায় ১ হাজার মানুষ।
কৃষ্ণপুর জিতপুর ব্রিজ হইতে কচুয়া প্রাইমারি স্কুল” হাই স্কুল ও কারিগরি কলেজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা দিয়েই চলে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
একি ইউপির বনকেশর হতে কোয়েল পূর্বপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। মোহর থেকে কৃষ্ণপুর
হাই স্কুল। গাল্লা থেকে শাহাপুর কোয়েল উত্তর পাড়া,চাঁদপুর দিঘিপাড়া থেকে বানিয়াল আদিবাসী পাড়া। শাহাপুর থেকে ইলামদহী হাট পর্যন্ত। প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা পাঁচন্দর ইউপির এখনো কাঁচা।

পাঁচন্দর ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বৃষ্টির মৌসুম আসলেই আমাদের এলাকার কয়েক টা গ্রাম আছে সেই গ্রাম গুলোতে একপ্রকার অভিশাপ্ত জীবনযাপন করতে হয়। বৃদ্ধ মানুষ যদি অসুস্থ হয় তাদেরকে খাঁটিয়াতে করে নিয়ে যেতে হয় পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত। এক হাটু কাদা ডেমিয়ে কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনা এতে করে পড়ালেখায় পিছিয়ে যায় তারা।
গুড়ইল গ্রামের আলহাজ্ব ইসরাইল বলেন,জন্ম লগ্নভাবে আমাদের এই রাস্তা কাঁচা রয়েছে, আষাঢ় মাস আসলে আমরা যেন এক বন্দি জীবনযাপন করি এর থেকে রেহাই কবে পাবো জানিনা বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

গুড়ইল গ্রামের কাফি বলেন,ভাই আমাদের এলাকায় প্রায় ২ হাজার মানুষ বসবাস করে। বর্ষা মৌসুমে এতটাই সমস্যা হয় যে বলার ভাষা নেই। আমি শহরে থাকি আমার পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় খাটিয়াতে করে বা গরুর গাড়িতে করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত। বর্ষ মৌসুমে একপ্রকার আমাদের এলাকার মানুষ বন্দী জীবন যাপন করেন বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

একি গ্রামের বাবুল বলেন, হালকা একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় এক হাটু কাদা আমাদের চলাচলের একমাত্র পরিবহন হিসাবে গরু বা মহিষের গাড়ি ই একমাত্র ভরসা।

এ বিষয়ে পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এটা সত্য যে বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পাকা রাস্তা না থাকায় তাদের জীবন যাপনে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়। তবে পাঁচন্দর ইউপির কাঁচা যে গুলো রাস্তা আছে প্রায় রাস্তার কোড হয়ে গেছে কিছু দিনের মধ্যে অনেক রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে আশা করছি পর্যক্রমে আমাদের ইউনিয়নের সব রাস্তার কাজ হয়ে যাবে।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) সাইদুর রহমান বলেন, আসলে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির অনেক রাস্তায় কাঁচা বর্ষা মৌসুমে তাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটাই থমকে যায়। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তার কাজ বর্ষা মৌসুম পার হলেই শুরু হবে। আগামীতে সব রাস্তায় হবে বলে জানান তিনি।